এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্ব

এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলো কাতার

ঢাকা: স্বাগতিক কাতার এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখলো। আজ শনিবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখে কাতার।
আকরাম আফিফের (ছবিতে ১১ নম্বর জার্সিধারী) পেনাল্টি হ্যাটট্রিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জিতলো ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজকরা। পুরো খেলায় দাপট দেখিয়েই এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করে আয়োজকরা।
কাতারই হলো ২০ বছরের মধ্যে জাপানের পর টানা দুইবার এশিয়া কাপ জয়ী দেশ। জাপান ২০০০ ও ২০০৪ সালে এই সাফল্য দেখিয়েছিল। কাতার ফাইনালটি দাপট দেখিয়েই জিতে নেয়। ২০১৯ সালের আসরে এই জাপানকে হারিয়েই কাতার তাদের প্রথম এশিয়া কাপ জিতেছিল। সে জয়টিও ছিল ৩-১ ব্যবধানের।
সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে পাচটি দেশ এরকম পরপর দুবার শিরোপা জেতে। সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান হলো টানা দুবার শিরোপা জয়ী অপর তিন দেশ।
জর্ডান এবারই প্রথম এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে মহাদেশীয় ফুটবলামোদীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এমনকি ইয়াজান আল নেইমাত ৬৭ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আশাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞ কাতারি দলটির সাথে কুলিয়ে উঠতে পারেনি জর্ডান দল। আফিফ ২২, ৭৩ ও ৯৫ মিনিটে পেনাল্টি মেরে গোল তিনটি দেন।
গোল্ডেন বুট জয়ী আফিফ: আফিফের এই হ্যাটট্রিক এবারের আসরেরও প্রথম। সব মিলিয়ে আট গোল করার সুবাদে তিনি এএফসি এশিয়ান কাপ কাতার ২০২৩ এর শীর্ষ গোলদাতার পুরষ্কারটিও জিতে নেন। তার কাছাকাছি ছিলেন ইরাকের আয়মেন হুসেইন। তিনি গোল করেন ছয়টি। ২০১৯ সালে কাতারের প্রথম এশিয়ান কাপের জয়ের সময়ও স্থানীয় আল সাদ ক্লাবের ফরোয়ার্ড আফিফের অসাধারণ নৈপুণ্য ছিল। সেবার তিনি ১০টি গোলে বলের জোগান দিয়েছিলেন।
লু্সাইলে আর্জেন্টিনার পর কাতারের সাফল্য: কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত লুসাইল স্টেডিয়ামের এ মাঠেই ২০২২ সালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল। সেবারের বিশ্বকাপে কাতার আয়োজক হলেও প্রথম রাউন্ডের গন্ডি পেরোতে পারেনি। তবে এবার কাতারের সাফল্য দেখতে এদিন মরু দেশটির প্রধান স্টেডিয়ামে দর্শকদের বান ডেকেছিল। প্রায় ৮৭ হাজার দর্শক শিরোপা জয়ী ফাইনালটি দেখেন।