ভারতের ফুটবল মাতাবেন সানজিদা, সাবিনা

ঢাকা: সাবিনা খাতুনের পর সানজিদা আক্তারও নারী আই লিগ ফুটবলে খেলতে ভারতে গেলেন। তিনি খেলবেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় ক্লাব ক্লাব কলকাতার ইস্টবেঙ্গলে। অপরদিকে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের লিগটির দল কিকস্টার্ট এফসিতে খেলতে সোমবার গোয়ায় পৌঁছান সাবিনা খাতুন। ধারণা করা যায় দুজনেই ভারতের ফুটবল মাতাবেন।

বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা দলের ফুটবলার সাবিনা এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আই লিগ খেলতে গেলেন। এর আগে কৃষ্ণা রানী সরকারও খেলেছেন নারী আই লিগে। সে হিসেবে সানজিদার এটি প্রথমবার কোন বিদেশী লিগে খেলতে যাওয়া।

সানজিদা তিন মাসে ৩ লাখ টাকার চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক মতো এগোলে ১৮ মার্চ ইস্টবেঙ্গলের পরের খেলাতে উড়িষ্যা এফসির বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে সানজিদাকে। জাতীয় দলের রাইট উইঙ্গার সানজিদার অবশ্য এটাই প্রথম কোন বিদেশী লিগে খেলতে যাওয়া। তাও আবার ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে। যে ক্লাবটিতে তিন দশক আগে খেলতে গিয়ে ভারতের ফুটবলকে মাতিয়ে এসেছিলেন মোনেম মুন্না।

একটা সময়ে ভারতের ফুটবলে নিয়মিতই খেলতে যেতেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। অনেক দেরীতে হলেও তাঁদের পথ ধরে পুরুষ ফুটবলাররা না হোক নারী খেলোয়াড়রা যে ডাক পাচ্ছেন সেটাও বিরাট ব্যাপার।

ইস্টবেঙ্গলে এক সময় খেলে এসেছেন মোহাম্মদ আসলাম, মোনেম মুন্না, রিজভি করিম রুমি, গোলাম গাউসের মতো বাংলাদেশের ফুটবলারেরা। ১৯৯১ সালে ইস্ট বেঙ্গলের কলকাতা লিগ জয়ে অকাল প্রয়াত মুন্নার ভূমিকা ছিল বিরাট। মুন্না সে সাফল্যের সুত্র ধরে ১৯৯৫ সালে আরও একবার ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন।

মুন্না-আসলামদের পথ ধরেই এবার দলটিতে যোগ দিলেন সানজিদা। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানাচ্ছে সানজিদা রবিবার ভারতের ভিসা পান। এরপর সোমবার তিনি কলকাতায় পৌঁছে যান। নারীদের আই লিগে ইস্টবেঙ্গল খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। চার ম্যাচ খেলে জিতেছে কেবল একটিতে। তিনটি ম্যাচেই হার হয়েছে তাদের। পয়েন্ট তালিকায় সাত দলের এই লিগে ইস্টবেঙ্গল আছে পঞ্চম স্থানে।

দেশের নারী ফুটবলারদের মধ্যে সাবিনাই বিদেশি লিগে খেলা প্রথম ফুটবলার। তিনি প্রথম খেলতে গিয়েছিলেন মালদ্বীপে। মালদ্বীপে একাধিকবার খেলেছেন তিনি। মালদ্বীপে খেলেছেন জাতীয় দলের আরেক ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়াও। ২০১৮ সালে ভারতের সেথু এফসির হয়ে দারুণ খেলেছিলেন।